ক্লাবের ছাদে

নভেম্বরের মাঝামাঝি, সময় দুপুর বেলা। প্রচন্ড গরম। বদ্ধ রুমে কয়েকটা মানুষ। মাথার উপর ফ্যান ঘুরে তপ্ত বাতাস ছড়ায়। রুমের বাইরে ক্লাবের কর্মকাণ্ড গতিশীল।প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে চেয়ে থাকে ক্লাবের নতুন ছেলেটা। একরাশ জিজ্ঞাসা আর কৌতুহল নিয়ে ক্লাবের কাজগুলো দেখে সে। মনে একটাই চিন্তা, উনিশ কুড়ির হিসেব যেভাবেই হোক মিলাতে হবে তার। এজন্যই সে ক্লাবে এসেছে। ক্লাবের সদস্যদের মাঝে নিজেকে প্রকাশ করতেই হবে তাকে, কারণ সে একমেবাদ্বিতীয়ম।

জুনের শেষ দিন। প্রচন্ড অস্থিরতা ছেলেটার মনে। উনিশ কুড়ি মেলানোর দিন শেষ যদিও। এই অস্থিরতা অন্যরকম। এখন চিরচেনা ক্লাবটাই যেন হঠাৎ গলার কাটা হয়ে দাঁঁড়াচ্ছে তার জন্য। শেষ বেলায় এসে এমনটা হবে কখনো ভাবে নি৷

জুলাইয়ের সূচনা। ক্লাব ছেড়ে চলে এসেছে সে। এত প্রতিবন্ধকতা সে নিতে পারছিল না। বিদায় জানানোর ইচ্ছা থাকলেও প্রচন্ড মানসিক চাপে সে বিদায় জানাতে পারেনি ক্লাবের চেনা মুখগুলোকে। নতুন সূচনায় কিছুটা বিভ্রান্তি আর চিরকালীন অসাড়তা থাকলেও সে চেষ্টা করবে বলে মেনে নেয়। হয়ত নতুন সূচনাই তার আমৃত্যু কারা হয়ে থাকবে। ক্লাবের দিনগুলো আর চেনা মুখগুলো মনে করে স্মৃতিচারণ করবে সে।

বাগানবাড়ির ডায়েরী (২)

Read: বাগানবাড়ির ডায়েরী (১)

আমার বর্তমান ঠিকানা বাগানবাড়ির এক অদ্ভুত মায়াময়ী রুপ খুঁজে পেলাম আজ রাতে। চাঁদের আলো ঘন গাছগুলোর ভেতর দিয়ে চুঁয়ে পড়ছে মাটিতে। প্রচন্ড রুপালী বর্ষনে ভেসে যাচ্ছে জঙ্গলের নিকষ কালো অন্ধকার। আজকে আর চোখ ফেরাতে পারছিলাম না গভীর জঙ্গলের দিক থেকে। পেছনে চলা নীলাঞ্জনা কালো কুকুরটাও চন্দ্রস্নানে ধরা দিল আমার কাছে। স্তব্ধ আমি নির্জন ভাঙা ইটের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে থমকে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকলাম গভীর জঙ্গলের রুপালী বর্ষায় অনেকক্ষন। প্রকৃতি মাতার নিশি কন্যার এই অপরুপ সৌন্দর্য যে অবজ্ঞা করতে পারে, সে হৃদয়বিহীন মাংসপিণ্ডের এক কাকতাড়ুয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।

বাগানবাড়ির ডায়েরী (১)

পেটের দায়ে আমি যে এলাকায় এখন থাকি, তার নাম বাগানবাড়ি। নাম শুনে ফুল, পাখি, প্রজাপতি চোখে ভাসলেও আসলে জায়গাটা তেমন নয়। bagabবহু বছর আগের বাগানের গাছগুলো এলাকাকে ছোটখাট বনে পরিণত করেছে। এই গহীন আঁধারী জঙ্গলের পথ ধরে প্রতি রাতে আমায় ফিরতে হয়। ভাঙা ইটের রাস্তা ধরে আসার সময় আর ডানে বামের গাছের ফাকে তাকানোর সাহস হয় না। কে জানে হয়ত একজোড়া লাল চোখ যদি দেখে ফেলি! তবে লাল চোখ না দেখলেও কালো কুকুরের নীল চোখ দেখার সৌভাগ্য হয়ে গেছে দুয়েকবার। আঁধারে মিশে অদৃশ্যপ্রায় কুকুরটা পিছু পিছু আসে, আমি ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে তার দিকে ধরি, নীলাঞ্জন অদৃশ্যপ্রায় কুকুরটা থমকে দাঁড়ায়। আবার চলে আমার পিছু পিছু। আর হ্যা, খুব কাছ থেকে মাঝরাতে শেয়ালের ডাক শোনার অভিজ্ঞতাও দিয়েছে এই বাগানবাড়ি।

Click to see my Baganbari residence

 

FB Status Fall’2017

facebook-3d-images-1583129263

Presenting some selected FB status posts of Salman’s Profile from Fall’2017 😛

  • 9.4

X মানুষ মরলে ভূত হয়, কিন্তু গরু ছাগল মরলে কি ভূত হয় না?

X এককালে যখন চাইনিজ ফোন চালাতাম, তখন পকেটে একটা এক্সট্রা ব্যাটারি রাখতাম।
অর্থাৎ পাওয়ার ব্যাংক আসার আগেই আমি পাওয়ার ব্যাংক থিওরি আবিষ্কার করেছিলাম।

  • 9.5

আমার ধূসর স্বপ্নে
সাদা পরী হয়ে তুমি এসে,
গড়েছ রঙিন বাগান
আমার পাথর প্রাসাদে।

  • 9.7

তার অবহেলার পরিমাণ,
সাগরে ভাসা ডিঙি নৌকার পাশে,
আকাশ ছোঁয়া ঘূর্ণিঝড়ের সমান।

  • 9.16

X চিড় ধরা সম্পর্কের কাঠে
ঘুণপোকার আনাগোনা,
কদিন পর চুলোর আগুনেই
হবে তার শেষ ঠিকানা।

X দিন শেষে সেই তোমার কাছে থাকবে, যার তুমি ছাড়া কেউ নেই।
বাকি সবাই দুধের মাছি।🐝

  • 9.19

হাতের নিপুণ ছলনায় চোখকে বোকা বানানোর নামই ম্যাজিক।
যখন সব বুঝেও, মিথ্যে আশা দিয়ে নিজ মনকে সান্ত্বনা দেয়া হয়, তখন নিজেকে বড় জাদুকর বলতে দোষ কোথায়?

  • 9.20

জ্বীনঃ মীনা, তুমি কি সিনেমার নায়িকা হতে চাও?
মীনাঃ নায়িকা হইতে জ্বীন লাগে নারে ভকচদ।

  • 9.21 

ভালবাসার মামলায় আসামী আমি, বিচারক তুমি, উকিল তোমার নাতি, সাক্ষী রিকশাওয়ালা মামা।

  • 9.24

ফুলের মালা ছিঁড়ে গেছে বলে ফুলগুলো ফেলে দিও না। নতুন একটা সুতায় তাদের গেঁথে দাও।

  • 9.28

সাদা স্বপ্নগুলো তখনই রঙিন হবে, যখন তুমি তাদের কালো দুঃস্বপ্নের সাথে মিশিয়ে ধূসরিত করা বন্ধ করবে।

  • 9.30

সাত সাগর আর তেরো নদী পার হতেও টাকা পয়সা লাগে।

  • 10.4

ঠান্ডা শরীরটা গোলপোস্ট আঁকড়ে রয়, উষ্ণ আত্মাটা পেনাল্টি শট দিতে প্রস্তুত।

  • 10.7

সূর্যের আলোতে বালু
চিকচিক করে,
মুখের ভেতরে বালু
কিচকিচ করে।

  • 10.8

তৃষ্ণার্ত স্বপ্নটা বাস্তবতার জলাশয়ে পৌঁছানোর আগেই এক বেপরোয়া গতির দূর্ভাগ্য সেই স্বপ্নকে পথেই পিষে দিলো।

  • 10.13

“কাশফুল” ছিঁড়ে বাড়িতে নিয়ে যাও কেন?
১. টবে গাছ লাগাবে বলে?
২. ঘুমন্ত কারো নাকের ভেতর ঘুটাবে বলে?

  • 10.18

পূর্ণিমা চাঁদের হাট থেকে দশ ঝুড়ি রুপালী আলো এনে, ঢেলে দেব তোর সোনালী গায়ে।

  • 10.20

বৃষ্টির পানি দিয়ে চা বানানো না হলে আজ বৃষ্টিকে চরম অপমান করা হবে।

  • 10.24

কখনো কি আর পুরানো কনভার্সেশন ঘেঁটে দেখেছ?
শুরুটা কিন্তু অনেক বেশি চমৎকার ছিল।

  • 10.28

টুকরো টুকরো বাক্যগুলোর নির্দিষ্ট কোন অর্থ থাকে না। যে যেভাবে নিজের সাথে মিলিয়ে নেয়, সেরকম অর্থই প্রকাশ করে।

  • 10.29

লাল গাছের কালো মগজ ভেবেই পাচ্ছে না, কিভাবে সাদা হৃদপিন্ডটা চুরি করল বেগুনী কাঠবিড়ালি

  • 10.30

পুরাতন বটগাছ ঘিরেই গড়ে উঠেছে অনেক হাট-বাজার আর রাস্তার মোড়গুলো। প্রবীণের ছায়ায় নবীনেরা সুরক্ষিত বোধ করে বলেই হয়ত এই রীতি তৈরি হয়েছে অজান্তেই।

  • 11.1

X  – জানো, আজ হ্যালোইনের রাত! 😈💀👿👹
    – জানি। আজ রাতে এসে, আমার পাছায় একটা ভয়ংকর চুমু দিয়ে যেও।

X ফেবুতে লাইক দিলে যেই শব্দ হয়, অন্য রিএক্ট দিলে তার উল্টা শব্দটা হয়।

  • 11.5

সাগর কলার ইংলিশ কি
Sea Banana?

  • 11.9

আবছা সবুজ আলোতে এক কাপ নেশার গল্প, লিখে দিলাম তোমার ডায়েরীর ছেঁড়া পাতায়।

  • 11.10

কাউকে সময় দেয়া মানেই নিজের জীবনের কিছু অংশ তাকে দিয়ে দেয়া।

  • 11.13

সাদা দাড়িওয়ালা পৃথিবী আর লালচুলো মঙ্গল হেসে ওঠে চল্লিশ হাজার বছর আগের নীলাম্বরী ইউরেনাসকে ভেবে।

  • 11.14

জড়বস্তুর সাথে মনে মনে কথা বলা যায়।
সেই জড়বস্তু নীরব কথার উত্তরও দেয়।

  • 11.15

অশিক্ষিত লোক যখন আধিক পয়সাওয়ালা হয়, সে তখন শিক্ষিত লোকের দিকে তাকালে এক টাকার লেবেনচুষ দেখতে পায়।

  • 11.16

প্রচন্ড নোংরা একটা পোস্ট দিতে চেয়েও দিলাম নাহ। কারণ সেটা এতই নোংরা যে, তুমি পুরোটা পড়ার আগেই হড়হড় করে বমি করে সারা বাড়ি ভাসিয়ে দেবে।

  • 11.20

যে আদিম শিশুটি সূর্যের আলো নিয়ে খেলার ছলে সৌরঘড়ি আবিষ্কার করেছিল, সে ধারণাও করতে পারেনি এই ঘড়িই একদিন মানবজাতির নিয়ন্ত্রক হয়ে যাবে

  • 11.21

– কারো আড়ালে কিছু করাই হল চুরি।
– চুরি কি আড়ালেই হয়? পাব্লিক প্লেসেও তো মানুষের ফোন মানিব্যাগ চুরি হয়।
– উহু! পাব্লিক প্লেসেরটাকে বলে ‘মাইরা দেওয়া’।

  • 11.29

পারফেকশন বলে কিছু নেই, যা আছে তা হল
‘নিজের মনের মত’

  • 12.1

পৃথিবীতে সব কাজের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, আগের চেয়ে আরেকটু বেশি ভাল থাকার চেষ্টা।

  • 12.3

সাপের বিষে যন্ত্রনা পাওয়া মানুষের শরীর নীল হয়ে যায় বলেই হয়ত কষ্টের রঙকে নীল বলে।
কষ্ট মানেই বিষাক্রান্ত এক অনুভূতি।

  • 12.18

অনুভূতিগুলো চোখের সামনে খুন হতে দেখলে, নিরীহ মানুষও হিংস্রতার মাঝে জীবন খুঁজে বেড়ায়।

  • 12.22

কুয়াশা ঘেরা মেঠো পথের,
ঘাসের ডগায় শিশির হয়ে,
তোর নূপুরের উষ্ণ ছোয়ায়,
বাষ্প হয়ে ভাসতে চাই।

  • 12.27

যদি পৃথিবীকে ঘিরে দুটো চাঁদ থাকত, তখন একটা হত সৌন্দর্যের, আরেকটা হত কুৎসিতের প্রতীক।
…যেমনটা হয় মঙ্গল গ্রহে।

 

তুমি কি ভূত?

ASDF

 রিমঝিম বৃষ্টিমাখা দিনে একটা হরর গল্প হয়ে যাক?
ধরো সেই গল্পের নায়ক বা নায়িকা তুমি নিজে।
তুমি মরে গেছ। সেদিন এরকম ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তোমায় গোরস্থান নিয়ে এল। এসে দেখে যেই কবর খোঁড়া হয়েছে, তা ঘোলা চৌবাচ্চা হয়ে গেছে। আবার সব মিলে বালতি দিয়ে কোনভাবে তোমার শেষ বাসস্থান নামক বাথটবের পানি সরালো। এরপর তোমায় সেই গোড়ালিডোবা প্যাঁকে রেখে প্যাকড করে দিল নিয়মমত।
তারপর রিমঝিম বৃষ্টিতে আবারো বদ্ধ চৌবাচ্চা পূর্ণ হয়ে গেল। এবার আর কেউ পানি সরাচ্ছে না। পেটের ভেতরের অবশিষ্ট বাতাসের কারনে জলে ভাসা বোতলের মত তুমিও ভেসে উঠছ তোমার ঘরের ভেতর। কিন্তু বিধির বাম উপরে সেই বাঁশের বেড়াতেই যেয়ে আটকে গেলে। চুঁয়ে পড়া ঘন কাদাজল তোমার জলাধার ঘরের পরিধি আরো ছোট করে দিচ্ছে।
ভয় লাগছে না গল্পটা? নাকি মন খারাপ হয়ে গেল? গল্পের চরিত্র তুমি না হয়ে অন্যকেউ হলে হয়ত ঠিকই ভয়ে কুঁকড়ে যেতে। নিজেকে মৃত ভাবাটা ভয়ের চেয়ে দুঃখ দেয় বেশি। ভেজা আঁধারে শুয়ে থাকা দেহগুলো গোরস্থানের বাইরে বসে থাকা ফকিরগুলোকেও প্রচন্ড হিংসা করে। সেই হিংসা আর জীবনের অপূর্ণতা মিলে দুঃখ তৈরি করে, নিজেকে মৃত ভাবতে বাধা দেয়।
দুঃখিত। আজ বৃষ্টিস্নাত রাতে কোন ভয়ের গল্প নেই। 🌜

Salman
0333.21.10.17

ফেসবুক স্ট্যাটাস, আগস্ট ২০১৭

facebook_status

  • আগস্ট ১

খয়েরী আকাশের গোলাপি মেঘটা হঠাত করেই এক পশলা বাদামি খরগোশের বৃষ্টি ঝরালো।

#ঘুমেরবাক্স 🍷🍷

  • আগস্ট ২

মৃত মানুষকে জন্মদিনের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো তাকে অপমান করার মতই ব্যাপার।

  • আগস্ট ৬

তিন-চার শব্দের একই লাইন সবাইকে ফরওয়ার্ড করা হল কর্পোরেট ফ্রেন্ডশিপ।

  • আগস্ট ৭

জীবনে যত বড়ই দুঃখ কষ্ট আসুক না কেন, কখনো সুইসাইড করবে না। এর চেয়ে বরং প্রচন্ড খারাপ হয়ে যাও, যেন মানুষ আফসোস করে বলে “এই হারামি মইরা গেলেই ভাল হত”।

  • আগস্ট ৯

বলার চেয়ে লিখতে বেশি পছন্দ করি। ভাবনাগুলো গুছিয়ে লেখতে চেষ্টা করি, সে ফেবু বা ব্লগ হোক, কিংবা পরীক্ষার খাতা।

  • আগস্ট ১২

তিনটা স্ট্যাটাস লিখে আবার তিনটাই মুছে দিলাম। অতি উচ্চমার্গীয় লেখা। কেউ বুঝবে না।

  • আগস্ট ১৩

বিপদে পড়লে যেমন বন্ধু চেনা যায়, তেমনি নিজেকেও চেনা যায়।

  • আগস্ট ১৪

আপনার ফেসবুক একাউন্টের ব্যালান্স শেষ। দয়া করে রিচার্জ করুন।

  • আগস্ট ১৫

রাস্তায় পিষে যাওয়া ছেলেটার পকেটে পাওয়া গেল অল্প কিছু টাকা আর একটা বেলি ফুলের মালা।

  • আগস্ট ১৫

ঝগড়া করার জন্য আদর্শ সময় হল মন খারাপের সময়টা। ভেতর থেকে সব উগড়ে দেয়া যায়।

  • আগস্ট ১৬

মৃত অনুভূতিগুলো সাজিয়ে রাখা একরকম শখের শিল্প। তবে সে শিল্প চোখে দেখা যায় না।

  • আগস্ট ১৬

গত শীতে যাদের বিয়ে হল, এই বর্ষায় তারা বাবা-মা হচ্ছে।
অভিনন্দন তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার জন্য।

  • আগস্ট১৭

-তোমার একটা গুন খুঁজে পেয়েছি।
-কি?
-তুমি বেশ ভাল অপমান করতে পারো। এমনকি কিছু না বলেও!

  • আগস্ট ১৯

অতিরিক্ত কিউটগিরি করো না। নজর লেগে অসুস্থ হয়ে রোগাপটকা হয়ে যাবা। 😒

  • আগস্ট ২০

সে আমার লেইম স্ট্যাটাসে আর হাহা রিএক্ট দেয় না। 😰
সে ভেবেছে এসব ধড়িবাজের কারসাজি। 😞

  • আগস্ট ২৩

দেশটা যদি একটা শরীর হয়, তাহলে এর শহরগুলো হল প্রতিনিয়ত পঁচতে থাকা ক্যান্সার কোষ।

  • আগস্ট ২৪

খোলসহীন শামুককে কি বলে? উলঙ্গ নাকি গৃহহীন? 🐚

  • আগস্ট ২৬

অস্বাভাবিক লোক অস্বাভাবিক চিন্তা করবে, এটা অস্বাভাবিক নয়।

  • আগস্ট ২৭

মানুষ আসলে সত্য শুনতে চায় না। তারা শুনতে চায় সেটাই, যা তারা শুনবে বলে ভেবে রেখেছে।

  • আগস্ট ২৮

তৃতীয় বিশ্বের এক উন্নয়নশীল দেশের দূর্গম জঙলী এলাকার এক মেয়ের গল্প জানে সমগ্র মহাজগৎ।

  • আগস্ট ৩১

সম্পর্কের বাহারি রঙিন পাতাগুলোও উষ্ণতার অভাবে ঝরে পড়ে।

  • আগস্ট ৩১

ঢাকাবাসীর একবার যে জায়গা পছন্দ হয়, তাকে প্রথমে ডাস্টবিন করে, এরপর সেখানে বাড়ি বানায়।

  • আগস্ট ৩১

বালিকার ফলোয়ার সংখ্যাই শুধু বেড়েছে, বুদ্ধির বিকাশ হয় নি।

প্রবন্ধী

Salman,
28.12.2016, 06:00AM

michelangelo-caravaggio-st-jerome-when-writing-art-poster-print

আমি গল্প লিখতে পারি না। এককালে কবিতা লেখার ট্রাই করেছিলাম, কিন্তু লেখা শেষে ওগুলাকে কবিতা নয় বরং ছন্দে ছন্দে আর্টসেলের গানের সারাংশ বলে মনে হচ্ছিল! তবে প্রবন্ধ টাইপের বানীমূলক নীতিকথামূলক জ্ঞানমার্গীয় হাবিজাবি যা আছে এগুলা রঙ মাখিয়ে লেখতে পারি। এবং এই লেখা দেখে গুটিকতক মানুষ আবার মুষ্ঠিবদ্ধ বুড়া আঙুলও দেখায়। যাক আমি লেখক নই, তাই এই বুড়া আঙুল দর্শনই আমার জন্য মোর্দেনেনাফ!
এখন কেন লিখছি? ওয়েল, মন ভাল নেই তাই। কারন? অনেক কারন। না বলাই ভাল। সব কারন জানাতে নেই।
থাক, একটা গল্প বলার চেষ্টা করি। একদেশে ছিল… আচ্ছা সব গল্পে ‘এক দেশে ছিল’ দিয়ে সূচনা কেন হয়? মনে হয় এইটা টিউব লাইট জ্বলার মত প্রোসেস। দিপ দিপ করতে করতে জ্বলে ওঠা! তবে এখনকার টিউবলাইটও অটো জ্বলে। আর ৩০০ টাকার বাত্তি তো আছেই।
হু আর গল্প বানাতে ইচ্ছা করছে না। মনও মাঝে মাঝে বাঁশি টেনে ঝিম মেরে খিচ খেয়ে বসে থাকে। এইটা মন খারাপ না, একে আনমনা ভাব বলে। উদাসীনতা আর আনমনা জিনিস দুইটা একই কিনা সেটা জানতে হবে। কিন্তু এখন কিছু আর জানতেও ইচ্ছা করছে না।
শুভ সকাল।

প্রজাপতি

🦋🦋🦋রংধনুর রঙে রাঙানো প্রজাপতির
🦋🦋বৃষ্টিভেজা রং
🦋রাঙিয়ে দিল আমার দুহাত

🦋🦋🦋চুপ করে শুধু দেখে গেলাম,
🦋🦋অনুভব করে গেলাম।
🦋বলতে পারি নি কিছুই।

🦋🦋🦋নির্বাক আমি
🦋🦋শুধু চেয়ে দেখি
🦋বৃষ্টিভেজা

বর্ণালী প্রজাপতি। 

Salman
09.06.15

~as a memorandum

🦋
12341552_1072594896107514_4633748409143849786_n

🦋

🦋

🦋

🦋

🦋

 

 

মিটিমিটি

ইট পাথরের নগরীতে
হোক দিন কি বা রাত,
জীবন দৌড়ে কেউ থামে না,
অজ পাড়ার মত থমথমে রাত পায়না এখানে কেউ, দেখে না প্রভাত।
জোছনার মায়া আর অমাবস্যার ভয়,
ছিন্নভিন্ন করে হয়েছে বিজলি বাতির জয়।
ধূসর হয়েছে মনের প্রকৃতি সবার ভেতরে,
শহর মানে এখন নিজেকে নিজের থেকে সরিয়ে ফেলা
সিল লাগানো নকল চাদরে।
এই নগরের রাতের পথে
নিয়ন বাতি রংবেরঙের
চোখ ধাধানো চমকের মাঝেও পেয়েছিলাম
মিটিমিটি এক জোনাকীর দেখা,
মনের নকল চাদর ঝেড়ে
নতুন করে জেনেছিলাম
আঁধারের রুপকথা।

65323426

বিজলি বাতির দেখানো রাজপথ ছেড়ে
জোনাকীর পিছে ছুটেছি হয়ে
শহরের বেওয়ারিশ
হঠাত কারো ডাক শুনে চেয়েছিলাম পিছে,
দেখি যে কেউ নেই, খালি মিছে মিছে।
আবার যখন তাকালাম জোনাকীর পথে,
সে চলে গেছে বহুদূর, আপন মোহ ছড়াতে ছড়াতে।
সেই থেকে আবার যান্ত্রিক হয়ে চলছি
বেওয়ারিশ মনকে পুরে রেখে বস্তায়,
বিজলি বাতির দেখানো
পিচ ঢালা বালুময় কালো রাস্তায়।
আজও চমকে উঠি দেখে হঠাত কোন সোনালী মিটিমিটি
আবারো মাখতে চাই সেই আলো দুহাত ভরে মুঠিমুঠি।

রোদেলা নিশিথে

Sazed Salman

ihmemno

যান্ত্রিক সব মানুষগুলোর
মুখোশ পড়ে অভিনয়,
নিজের জন্যই নিজে সবাই
সত্যি আপন কেউ কি হয়?
দিনের শেষে ব্যাস্ত দেশে
আসে যখন আঁধার রাত,
নিশ্চুপ ফাঁকা লোকারণ্যে
ফুটে ওঠে কষ্টের দাগ।
ঘুমপাড়ানি মাসী পিসিরা
হয়ত আসেনা সবার বাড়ি,
কেউবা থাকে ঘুম রাজ্যে
কারো এ সময় সাগর পাড়ি।
আমি নাহয় একলা একাই
রইব পুরোটা নিশিথ জেগে,
মনের কোনে লুকিয়ে রাখা
স্মৃতির এলবাম বারবার দেখে।
রোদের আলোয় সবাই সবার
চাঁদের আলোতে সব শূন্য,
অমাবস্যার রাত্রেও জেগে
রইবো কারো ডাক শোনার জন্য…

~Sazed Salman,
12 Aug’14, 02:30am

অস্পষ্ট মনকথন

Salman, 20 Jul’14, 12:30am

542855_90afafd53793fff48bdfdaf791947160_large

আজ নাহয় কবিতারা নীরবে কেঁদে যাক,
নীল আকাশটা নাহয় মেঘে ঢাকা থাক,,
থাক না সময় গুলো আঁধারে বন্দি,
বিষাদের সাথে হোক মনের সন্ধি,,
রংহীন যদি হয় প্রজাপতির ডানা,
মনটা নাহয় হোক আমারই অচেনা,,
ব্যাস্ত জীবনের পথে একটু অবসর,
অবসর-ই হবে আমার কষ্ট কারিগর।

(as a memorandum of the unbelievable, unforgettable risk I have ever taken in my life yesterday for unknown reason, জোনাকি)

Sleepless Owl’s Brain (Glittering Shadow)

Salman

বার বার কেন তবু,
ছুটি সেই মরিচীকার পিছু?
যা কভু হয়নি দেখা,
দেয়নি তো ধরা,
পাইনি কোন খোঁজ…
তবু অবুঝ আমি,
খুঁজে খুঁজে মরি,
শেষে নিজেই হই নিখোঁজ!!!
_
(দয়া করিয়া কেউ ২-৩ লাইন বেশি বুঝিও না। এটার ধারনা কই পাইছি কেবল আমি-ই জানি!!!)

বিনিদ্র মস্তিষ্কের কবিতা -১

পথের আড়ালে লুকানো পথে ছুটে চলেছি আমি,
নিস্তব্ধ দিন রাত্রির মাঝে নিজেকে খুঁজেছি,
কখনো পেয়েছি খুঁজে কোন বাবরি দোলানো কবি,
কবিতা দিয়ে এঁকে দেয় স্বপ্ন-রূপকথার ছবি,
কখনো বা শুনেছি,
ডানা ভাঙা অভুক্ত কাকের বিদীর্ণ চিৎকার,
বিশাল এ পৃথিবীর মাঝেও কিছু না থাকার হাহাকার…

a1 See Original Post